হিন্দু ধর্মের অনেক অসঙ্গতি আপনি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ও ইতিহাস দিয়ে প্রমাণ করতে পারবেন। কিন্তু তারা নানা অজুহাতে সেটাকে বর্জন করবে। তার মধ্যে একটা বড় অজুহাত হল "যুগের সাথে পরিবর্তন"। অর্থাৎ তারা মনে করে হিন্দু ধর্ম পরিবর্তনশীল বা যুগের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়। এটাকে তাদের একটি স্ট্র্যাটিজিও বলতে পারেন। হাজার বছরের কুসংস্কার টিকিয়ে রাখার একটি নোংরা ষড়যন্ত্র। আজকে এই বিষয়টা নিয়েই কিছু কথা বলবো এবং হিন্দু ধর্মের কিছু অসঙ্গতি, ভুল, নোংরামী তুলে ধরবো যা আগেও ছিল এবং এখনও আছে। যাতে তারা পরবর্তীতে এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে ওই পরিবর্তনশীল তত্ত্ব ব্যাবহার করতে না পারে।
১। গো-হত্যা, বর্তমান চাড্ডি সমাজের সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করা শব্দ। ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই গো-মাংস নিয়ে তুলকালাম চলছে। গো-হত্যা নিয়ে হিন্দু মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্তে বেশ কিছু মানুষও মারা গেছে এই কয়েক বছরে। সেই সাথে চলছে পুরো ভারত হতে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার পায়তারা। শুধুই ভারত? বাংলাদেশেও। মানে বাংলাদেশে তো আর তারা গো-হত্যা নিষিদ্ধ করতে পারবে না, তাই দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মত বাংলাদেশে গো-মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা খুশি হচ্ছে লিংক।
আসলেই কি হিন্দু ধর্মে গো-হত্যা নিষিদ্ধ? ধর্মগ্রন্থ বলে না, আবার ইতিহাসও বলে না। কিন্তু ওইযে তাদের নয়া তত্ত্ব, যা তারা অজুহাত হিসেবে দাঁর করায়। সেটার কি হবে? সেটা দিয়েও প্রমাণ করে দিবো যে হিন্দু ধর্ম বা হিন্দুদের কাছে গো-হত্যা নিষিদ্ধ নয়। একটা বিষয় তো সবাই জানেন ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গো-মাংস বা বিফ রপ্তানিকারী দেশ। ভারত ২.৪ মিলিয়ন টন গো-মাংস রপ্তানি করে, যা রপ্তানিকৃত গো-মাংসের ২৩.৫ শতাংশ লিংক। এখন বলুন যাদের সমাজে গো-হত্যা নিষিদ্ধ তারা কীভাবে গো-মাংস রপ্তানিতে এগিয়ে থাকে? এমনকি ভারতের বড় ৬টি গো-মাংস বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের ৪টিরই মালিক হিন্দু লিংক। মোটকথা হল হিন্দু সমাজে কখনোই গো-হত্যা নিষিদ্ধ ছিল না এখনও নেই। শুধুমাত্র রাজনীতি ও মুসলিম-দলিত নির্যাতনের জন্য এই বিষয়টাকে হিন্দু মৌলবাদীরা ইস্যু বানিয়েছে।
২। কাজিন ম্যারেজ, হিন্দু ধর্মে নাকি এই বিষয়টা নিষিদ্ধ এবং এটা তাদের কাছে নোংরামি। হ্যা আপনি তাদের ধর্মগ্রন্থগুলো চষে বেড়ালেও এমন কিছু পাবেন না। এটার ক্ষেত্রে তারা উপরিউক্ত অজুহাতটি বেশি ব্যাবহার করে থাকে। আসলেই কি বর্তমান হিন্দু সমাজে কাজিন ম্যারেজ বলে কিছু নেই? বা এটা হয় না? দক্ষিণ ভারতের হিন্দুদের কাছে কাজিন ম্যারেজ একটা কমন বিষয়। তাছাড়া ১৯৫৭ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রায় ৭.৭ শতাংশ হিন্দু কাজিনদের(সেকেন্ড কাজিনও আছে) বিয়ে করেছে। আবার ১৯৮০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ০.১ শতাংশ হিন্দু ফার্স্ট কাজিনকে বিয়ে করেছে। তাহলে কীভাবে হিন্দু ধর্মে কাজিন ম্যারেজ নিষিদ্ধ হয়? কারণ সেখানে তো যত মত তত পথ, তাহলে কাজিন ম্যারেজের সংখ্যা যতই কম হোক না কেন এটা তাদের সমাজেরই অংশ। আর সমাজেরই অংশ হলেই তো ধর্মের অংশ। তাছাড়া সাইন্টিস্টরা তো বলছেই কাজিন ম্যারেজ খারাপ কিছু নয় লিংক।
৩। সেবাদাসী বলে যে কিছু ছিল তা সবাই একবাক্যে স্বীকার করে। এবং তাদের সাথে কি করা হত সেটাও সবার জানা। এটাকে তারা প্রাচীনকালের "কিছু অজ্ঞ" মানুষের নোংরামি বলে চালিয়ে দেয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পুরো ভারতীয় উপমহাদেশেই এই সেবাদাসী কালচারটা ছিল। আবার অনেকে বলে এখন এই বিষয়টার বিলুপ্তি ঘটেছে, হিন্দু ধর্ম পরিবর্তনশীল তাই এটা তাদের ধর্মের অংশ নয়। হিন্দু ধর্ম পরিবর্তনশীল মানলাম কিন্তু আসলেই কি সেবাদাসীর বিলুপ্তি ঘটেছে ? উত্তর হল না। কেবলমাত্র ভারতের দুই রাজ্যে(তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রু প্রদেশ) প্রায় ৮০ হাজার সেবাদাসী রয়েছে, তাহলে চিন্তা করুন পুরো দেশের কি অবস্থা লিংক। যেহেতু এই প্রথাটা হিন্দু সমাজেই পালন করা হত এবং হচ্ছে সেহেতু এটা তাদের ধর্মেরই অংশ।
মৌলবাদী হিন্দু ও চাড্ডিদের ওই কথাটা দিয়েই তাদের নানাভাবে আটকে দেওয়া যায়। কারণ তারাই বলে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ কিছু না, হিন্দু সমাজটা আসল এবং হিন্দু ধর্ম পরিবর্তনশীল। যেহেতু তারা বলে হিন্দু সমাজের রীতিনীতিই ধর্মের অংশ(তাদের ধর্ম পরিবর্তনশীল) সেহেতু যত খারাপ রীতি আছে সেগুলোকেও তাদের ধর্মের অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে।
১। গো-হত্যা, বর্তমান চাড্ডি সমাজের সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করা শব্দ। ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই গো-মাংস নিয়ে তুলকালাম চলছে। গো-হত্যা নিয়ে হিন্দু মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্তে বেশ কিছু মানুষও মারা গেছে এই কয়েক বছরে। সেই সাথে চলছে পুরো ভারত হতে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার পায়তারা। শুধুই ভারত? বাংলাদেশেও। মানে বাংলাদেশে তো আর তারা গো-হত্যা নিষিদ্ধ করতে পারবে না, তাই দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মত বাংলাদেশে গো-মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা খুশি হচ্ছে লিংক।
![]() |
গো-মাংস |
২। কাজিন ম্যারেজ, হিন্দু ধর্মে নাকি এই বিষয়টা নিষিদ্ধ এবং এটা তাদের কাছে নোংরামি। হ্যা আপনি তাদের ধর্মগ্রন্থগুলো চষে বেড়ালেও এমন কিছু পাবেন না। এটার ক্ষেত্রে তারা উপরিউক্ত অজুহাতটি বেশি ব্যাবহার করে থাকে। আসলেই কি বর্তমান হিন্দু সমাজে কাজিন ম্যারেজ বলে কিছু নেই? বা এটা হয় না? দক্ষিণ ভারতের হিন্দুদের কাছে কাজিন ম্যারেজ একটা কমন বিষয়। তাছাড়া ১৯৫৭ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রায় ৭.৭ শতাংশ হিন্দু কাজিনদের(সেকেন্ড কাজিনও আছে) বিয়ে করেছে। আবার ১৯৮০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ০.১ শতাংশ হিন্দু ফার্স্ট কাজিনকে বিয়ে করেছে। তাহলে কীভাবে হিন্দু ধর্মে কাজিন ম্যারেজ নিষিদ্ধ হয়? কারণ সেখানে তো যত মত তত পথ, তাহলে কাজিন ম্যারেজের সংখ্যা যতই কম হোক না কেন এটা তাদের সমাজেরই অংশ। আর সমাজেরই অংশ হলেই তো ধর্মের অংশ। তাছাড়া সাইন্টিস্টরা তো বলছেই কাজিন ম্যারেজ খারাপ কিছু নয় লিংক।
৩। সেবাদাসী বলে যে কিছু ছিল তা সবাই একবাক্যে স্বীকার করে। এবং তাদের সাথে কি করা হত সেটাও সবার জানা। এটাকে তারা প্রাচীনকালের "কিছু অজ্ঞ" মানুষের নোংরামি বলে চালিয়ে দেয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পুরো ভারতীয় উপমহাদেশেই এই সেবাদাসী কালচারটা ছিল। আবার অনেকে বলে এখন এই বিষয়টার বিলুপ্তি ঘটেছে, হিন্দু ধর্ম পরিবর্তনশীল তাই এটা তাদের ধর্মের অংশ নয়। হিন্দু ধর্ম পরিবর্তনশীল মানলাম কিন্তু আসলেই কি সেবাদাসীর বিলুপ্তি ঘটেছে ? উত্তর হল না। কেবলমাত্র ভারতের দুই রাজ্যে(তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রু প্রদেশ) প্রায় ৮০ হাজার সেবাদাসী রয়েছে, তাহলে চিন্তা করুন পুরো দেশের কি অবস্থা লিংক। যেহেতু এই প্রথাটা হিন্দু সমাজেই পালন করা হত এবং হচ্ছে সেহেতু এটা তাদের ধর্মেরই অংশ।
মৌলবাদী হিন্দু ও চাড্ডিদের ওই কথাটা দিয়েই তাদের নানাভাবে আটকে দেওয়া যায়। কারণ তারাই বলে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ কিছু না, হিন্দু সমাজটা আসল এবং হিন্দু ধর্ম পরিবর্তনশীল। যেহেতু তারা বলে হিন্দু সমাজের রীতিনীতিই ধর্মের অংশ(তাদের ধর্ম পরিবর্তনশীল) সেহেতু যত খারাপ রীতি আছে সেগুলোকেও তাদের ধর্মের অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে।