Wednesday, April 26, 2017

বাংলাদেশে কি হিন্দু জনসংখ্যা সত্যিই বাড়ছে ? এর ভিতরের কাহিনী কি ?

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ৮.৪ শতাংশ। কিন্তু গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক রিপোর্টে বলা হয় হিন্দু জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৭ শতাংশে লিংক । বাংলাদেশের হিন্দু, মুসলিম, নাস্তিক, সেক্যু, বুদ্ধিজীবী সকলেই নানা কারণ দেখিয়ে এই রিপোর্টটি প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু আসলেই কি হিন্দুদের জনসংখ্যা বেড়েছে ? আপনারা যে যা-ই বলুন আমার পর্যবেক্ষন বলে, হ্যা বেড়েছে। আর আমার মতে সরকার যা দেখাচ্ছে তার তুলনায় অধিক হারে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে এই দেশে।


আপনারা সবাই জানেন পুরো বিশ্বেই হিন্দুদের জনসংখ্যা কমছে। এর নানা রকম কারণ রয়েছে। যেমন দেরীতে বিবাহ করা, কম সন্তান নেওয়া, কনভার্টেড হয়ে যাওয়া, নাস্তিক হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। তাদের যে জনসংখ্যা কমছে এটা একজন উগ্রবাদী হিন্দুও স্বীকার করবে। তবে কোন জাদুবলে মাত্র ৫ বছরে বাংলাদেশের মত অধিক জনসংখ্যার একটি দেশে তাদের সংখ্যা ২.৩ শতাংশ বেড়ে গেল? আসলে লোকসংখ্যা ঘরের হিন্দুদের দিয়ে বাড়ছে না, লোকসংখ্যা বাড়ছে ওইপারের মানে ভারতের বর্ডার ডিঙ্গানো হিন্দুদের দ্বারা। 


হ্যা আমি এটা নিজে পর্যবেক্ষন করে পেয়েছি। সেটা আমার বর্তমান ঠিকানা মিরপুর হোক কিংবা আমার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর। আমরা যে বিল্ডিং-এ থাকি সেটা দিয়েই শুরু করি, আমরা এখানে আসি ২০১১ সালের শেষের দিকে। তখন এই বিল্ডিং-এ একটাও হিন্দু পরিবার ছিল না। কিন্তু এখন এই এক বিল্ডিং-এ থাকে ৩টা হিন্দু পরিবার। এলাকার অন্যান্য বিল্ডিং ও টিনশেডেরও একই অবস্থা। এলাকায় দুইটা বেসরকারি প্রাইমারী স্কুল রয়েছে, ছোট থাকতে দুইটাতেই পড়েছিলাম বেশ কয়েকবছর। কখনোই এমন দৃশ্য দেখিনি যা বর্তমানে দেখা যায়। স্কুল শুরু ও ছুটির সময় সিঁদুর পরা হিন্দু নারীদের আধিক্য। খোজ নিয়ে জানলাম শুধু আমাদের এলাকা নয়, পুরো মিরপুরেরই একই অবস্থা। মানে সাধারণের চেয়ে হিন্দু জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।

তখনও আমি শিওর ছিলাম না এটার কারণ কি। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু ঘটনা আমাকে কারণটা বুঝতে সাহায্য করলো। দেশের থেকে মানে গ্রামের বাড়ি থেকে খবর আসতে লাগলো বিভিন্ন সময় দেশ ছেরে চলে যাওয়া হিন্দুরা আবার ফিরে আসছে। তারা ঘুষ খাইয়ে বা বড় কোন মানুষকে ধরে নিজেদের কথিত জায়গা জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে এবং সফলও হচ্ছে। আবার দেখা গেল ভারতের সরকারি ওয়েবসাইট "কর্মক্ষেত্রে" বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে লিংক। এসবই প্রমাণ করে বাংলাদেশে কি হারে ভারতীয় ব্যাক্তিরা প্রবেশ করছে।

এখন কথা হল তাদের গণহারে বাংলাদেশে প্রবেশের কারণ কি ? সবারই জানা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তাদের প্রতি একটু বেশী-ই সদয়। তাই বলে গণহারে তারা এই দেশে আসবে না। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বর্তমান ভারত সরকারের কুচক্রান্ত বাস্তবায়নের কারণেই হিন্দুরা গণহারে এই দেশে প্রবেশ করছে। আর ওই কুচক্রান্ত হল বাংলাদেশকে ভারতের রাজ্য হিসেবে প্রকাশ্যে অন্তর্ভুক্তকরন। অবশ্য এটা শুধু বর্তমান ভারত সরকারের কুচক্রান্ত বললে ভুল হবে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে নানা ভাবে যা ভারতের কোন সরকারের আমলেই বন্ধ হয়নি।   

Wednesday, March 22, 2017

গো-হত্যা, কাজিন ম্যারেজ, সেবাদাসী ও বর্তমান হিন্দু সমাজ

হিন্দু ধর্মের অনেক অসঙ্গতি আপনি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ও ইতিহাস দিয়ে প্রমাণ করতে পারবেন। কিন্তু তারা নানা অজুহাতে সেটাকে বর্জন করবে। তার মধ্যে একটা বড় অজুহাত হল "যুগের সাথে পরিবর্তন"। অর্থাৎ তারা মনে করে হিন্দু ধর্ম পরিবর্তনশীল বা যুগের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়। এটাকে তাদের একটি স্ট্র্যাটিজিও বলতে পারেন। হাজার বছরের কুসংস্কার টিকিয়ে রাখার একটি নোংরা ষড়যন্ত্র। আজকে এই বিষয়টা নিয়েই কিছু কথা বলবো এবং হিন্দু ধর্মের কিছু অসঙ্গতি, ভুল, নোংরামী তুলে ধরবো যা আগেও ছিল এবং এখনও আছে। যাতে তারা পরবর্তীতে এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে ওই পরিবর্তনশীল তত্ত্ব ব্যাবহার করতে না পারে।

১। গো-হত্যা, বর্তমান চাড্ডি সমাজের সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করা শব্দ। ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই গো-মাংস নিয়ে তুলকালাম চলছে। গো-হত্যা নিয়ে হিন্দু মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্তে বেশ কিছু মানুষও মারা গেছে এই কয়েক বছরে। সেই সাথে চলছে পুরো ভারত হতে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার পায়তারা। শুধুই ভারত? বাংলাদেশেও। মানে বাংলাদেশে তো আর তারা গো-হত্যা নিষিদ্ধ করতে পারবে না, তাই দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মত বাংলাদেশে গো-মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা খুশি হচ্ছে লিংক
গো-মাংস
আসলেই কি হিন্দু ধর্মে গো-হত্যা নিষিদ্ধ? ধর্মগ্রন্থ বলে না, আবার ইতিহাসও বলে না। কিন্তু ওইযে তাদের নয়া তত্ত্ব, যা তারা অজুহাত হিসেবে দাঁর করায়। সেটার কি হবে? সেটা দিয়েও প্রমাণ করে দিবো যে হিন্দু ধর্ম বা হিন্দুদের কাছে গো-হত্যা নিষিদ্ধ নয়। একটা বিষয় তো সবাই জানেন ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গো-মাংস বা বিফ রপ্তানিকারী দেশ। ভারত ২.৪ মিলিয়ন টন গো-মাংস রপ্তানি করে, যা রপ্তানিকৃত গো-মাংসের ২৩.৫ শতাংশ লিংক। এখন বলুন যাদের সমাজে গো-হত্যা নিষিদ্ধ তারা কীভাবে গো-মাংস রপ্তানিতে এগিয়ে থাকে? এমনকি ভারতের বড় ৬টি গো-মাংস বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের ৪টিরই মালিক হিন্দু লিংক। মোটকথা হল হিন্দু সমাজে কখনোই গো-হত্যা নিষিদ্ধ ছিল না এখনও নেই। শুধুমাত্র রাজনীতি ও মুসলিম-দলিত নির্যাতনের জন্য এই বিষয়টাকে হিন্দু মৌলবাদীরা ইস্যু বানিয়েছে।

২। কাজিন ম্যারেজ, হিন্দু ধর্মে নাকি এই বিষয়টা নিষিদ্ধ এবং এটা তাদের কাছে নোংরামি। হ্যা আপনি তাদের ধর্মগ্রন্থগুলো চষে বেড়ালেও এমন কিছু পাবেন না। এটার ক্ষেত্রে তারা উপরিউক্ত অজুহাতটি বেশি ব্যাবহার করে থাকে। আসলেই কি বর্তমান হিন্দু সমাজে কাজিন ম্যারেজ বলে কিছু নেই? বা এটা হয় না? দক্ষিণ ভারতের হিন্দুদের কাছে কাজিন ম্যারেজ একটা কমন বিষয়। তাছাড়া ১৯৫৭ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রায় ৭.৭ শতাংশ হিন্দু কাজিনদের(সেকেন্ড কাজিনও আছে) বিয়ে করেছে। আবার ১৯৮০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ০.১ শতাংশ হিন্দু ফার্স্ট কাজিনকে বিয়ে করেছে। তাহলে কীভাবে হিন্দু ধর্মে কাজিন ম্যারেজ নিষিদ্ধ হয়? কারণ সেখানে তো যত মত তত পথ, তাহলে কাজিন ম্যারেজের সংখ্যা যতই কম হোক না কেন এটা তাদের সমাজেরই অংশ। আর সমাজেরই অংশ হলেই তো ধর্মের অংশ। তাছাড়া সাইন্টিস্টরা তো বলছেই কাজিন ম্যারেজ খারাপ কিছু নয় লিংক

৩। সেবাদাসী বলে যে কিছু ছিল তা সবাই একবাক্যে স্বীকার করে। এবং তাদের সাথে কি করা হত সেটাও সবার জানা। এটাকে তারা প্রাচীনকালের "কিছু অজ্ঞ" মানুষের নোংরামি বলে চালিয়ে দেয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পুরো ভারতীয় উপমহাদেশেই এই সেবাদাসী কালচারটা ছিল। আবার অনেকে বলে এখন এই বিষয়টার বিলুপ্তি ঘটেছে, হিন্দু ধর্ম পরিবর্তনশীল তাই এটা তাদের ধর্মের অংশ নয়। হিন্দু ধর্ম পরিবর্তনশীল মানলাম কিন্তু আসলেই কি সেবাদাসীর বিলুপ্তি  ঘটেছে ? উত্তর হল না। কেবলমাত্র ভারতের দুই রাজ্যে(তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রু প্রদেশ) প্রায় ৮০ হাজার সেবাদাসী রয়েছে, তাহলে চিন্তা করুন পুরো দেশের কি অবস্থা লিংক। যেহেতু এই প্রথাটা হিন্দু সমাজেই পালন করা হত এবং হচ্ছে সেহেতু এটা তাদের ধর্মেরই অংশ।

মৌলবাদী হিন্দু ও চাড্ডিদের ওই কথাটা দিয়েই তাদের নানাভাবে আটকে দেওয়া যায়। কারণ তারাই বলে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ কিছু না, হিন্দু সমাজটা আসল এবং হিন্দু ধর্ম পরিবর্তনশীল। যেহেতু তারা বলে হিন্দু সমাজের রীতিনীতিই ধর্মের অংশ(তাদের ধর্ম পরিবর্তনশীল) সেহেতু যত খারাপ রীতি আছে সেগুলোকেও তাদের ধর্মের অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে।








Saturday, March 4, 2017

বুমেরাং ট্রাম্প!!!

বুমেরাং বস্তুটি সম্পর্কে আপনারা অবগত নাও থাকতে পারেন। বুমেরাং হচ্ছে কাঠের তৈরি এক প্রাচীন অস্ত্র। যা নিক্ষেপ করা হলে উপবৃত্তাকার পথে প্রদক্ষিণ করে নিক্ষেপকারীর কাছেই ফিরে আসে। এক সময় এটি খেলনা হিসেবেও বহুল প্রচলিত ছিল। এখনও কিছু কিছু এলাকায় এটি খেলনা হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে।  
বুমেরাং
ডোনাল্ড ট্রাম্প কীভাবে বুমেরাং-এর সাথে তুলনীয়? ট্রাম্প বুমেরাং হয়েছে হিন্দুদের ক্ষেত্রে। ট্রাম্পকে কীভাবে হিন্দুরা মাথায় তুলে নেচেছিল তা তো সকলেরই জানা আছে। তারপরও পুরনো বিষয়গুলো আবারও তুলে ধরা যাক। ভারতের রাজধানী দিল্লীতে হিন্দু সেনা নামক এক সংগঠন ট্রাম্পের সাফল্যের জন্য পূজো দিয়েছিল লিংক। সেখানে সংস্থাটির প্রধান ভিষ্ণু গুপ্ত ট্রাম্পকে মানবতার রক্ষক বলে আখ্যা দেন। শুধু তাই নয় এই একই সংগঠন দিল্লীর যন্তরমন্তরে জাঁকজমকপূর্নভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মদিন পালন করে লিংক। এছাড়াও ট্রাম্প নিউ জার্সির এক হিন্দু মন্দিরে ৫ হাজার লোকের জন সমাবেশে ভাষণ দেন। দিওয়ালি উপলক্ষ্যে ট্রাম্পকন্যা ইভানকার হিন্দু মন্দিরে যাওয়াটাও তখন সাড়া ফেলেছিল লিংক। আর বেশীকিছু দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না, কারণটা আগেই বলা হয়েছে বিষয়টা সকলেরই জানা।
দিল্লীতে ট্রাম্পের জন্মদিন পালন
এবার আসি কেন তারা ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিল সেই কথায়। ট্রাম্পকে সমর্থনের কারণ হিসেবে তারা নানা রকম প্রসঙ্গ তুলে ধরে। কিন্তু আসল কারণ যে ইসলাম ও মুসলিম সম্পর্কে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি তা কারো অজানা নয়। এমনকি বিশ্ব মিডিয়াও রাখঢাক না রেখে এটা প্রচার করেছিল। আসলে তারা ভেবেছিল ট্রাম্পকে দিয়ে নিজেদের আখেড় গোছাতে পারবে। যেমন বাংলাদেশের হিন্দুরা বাংলাদেশে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করেছিল লিংক। কেন তারা ওবামার কাছে যায়নি? কারণ হল ওবামা কখনো তার বক্তৃতা বা টুইটে ইসলাম বা মুসলিম বিদ্বেষী কিছু বলেনি। এর আগে তারা মোদী ও নেতানিয়াহুর কাছেও একই আর্জি জানিয়েছিল, এই দুইজনও চরম মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত।

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। পোস্টের মূল বিষয়ে আসতে দেরী করার জন্য। ট্রাম্প কীভাবে বুমেরাং হল সেটা এখন খুলে বলবো। হিন্দুরা ভেবেছিল ট্রাম্পকে দিয়ে মুসলিমদের শায়েস্তা করবে। কিন্তু ঘটলো ঠিল উল্টোটা। ট্রাম্প শপথ নেওয়ার ১ মাস আগেই অরবিন্দা পিল্লালামারি নামের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা পুলিশের জেরার মুখে পরেন লিংক। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, পুলিশ তো যে কোন সময় যে কাউকে জেরা করতেই পারে তাতে কি হয়েছে? এর উত্তরটা ওই মহিলাই দিয়ে দিয়েছে, ‘আমি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বেল এয়ারে বাস করছি। এই প্রথম নাগরিক অধিকার পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হল'। এটাই শেষ নয়। ট্রাম্প শপথ নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই পারামান রাধাকৃষ্ণন নামে এক ভারতীয় ব্যাবসায়ী আমেরিকার বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয় লিংক। জেরা হল, গ্রেপ্তার হল কিন্তু এর থেকে বড় কিছু না হলে ব্যাপারটা ঠিক জমছে না। সেটাও পূরণ হয়ে গেল ট্রাম্প ক্ষমতা হাতে নেওয়ার ১ মাসের মধ্যেই। আমেরিকার এক বারে দুই ভারতীয় শ্রীনিবাস কুচিভোটলা ও তার বন্ধু অলোক মাদাসানি গুলিবিদ্ধ হয়। এতে প্রকৌশলী শ্রীনিবাস কুচিভোটলা মারা যায় লিংক। হ্যা যেই সাবেক মার্কিন নৌবাহিনীর সদস্য গুলি করেছিল সে গুলি ছোড়ার আগে বলেছিল, 'আমার দেশ ছাড়ো'। মনে করে দেখুন হিন্দুদের ট্রাম্পকে সাপোর্ট করার অন্যতম অজুহাত ছিল 'জাতীয়তাবাদ'।
শ্রীনিবাস কুচিভোটলা
হিন্দুরা ভেবেছিল ট্রাম্প আসলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবে। হ্যা ক্ষমতা নেওয়ার কিছুদিন পরেই ৭টি মুসলিম দেশের শরনার্থীদের নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তা আদালত স্থগিত করেছে। এছাড়া ট্রাম্পের হাতে কোন মুসলিম বা মুসলিম দেশ আক্রান্ত হওয়ার কথা শোনা যায়নি। কিন্তু ভারতীয়দের অবস্থা দেখুন, তারা অলরেডি নিজেদের দেশে চাকরী খোজা শুরু করে দিয়েছে লিংক। এমনকি তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যেতেও ভয় পাচ্ছে লিংক। সবশেষে একটা কথাই বলা যায় অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে নিজেকেই পরতে হয়, তেমন হয়েছে হিন্দুদের অবস্থা।